পেকুয়া প্রতিনিধি :
পেকুয়ায় দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় স্কুল, কলেজ ছাত্রী ও মহিলাসহ অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা গুরুতর। এদের চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। জমির আধিপত্য নিয়ে উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের সুতাচুরা আতরআলীপাড়ায় সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে ১১ এপ্রিল বুধবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে। ঘটনার জের ধরে উজানটিয়া ইউনিয়নের পূর্ব ও উত্তর অংশের এ গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পেকুয়া থানা পুলিশ দু’দফা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আহতরা হলেন-ওই এলাকার মৃত ছমি উদ্দিনের পুত্র আজিজুর রহমান(৭৮), নুরুল ইসলামের ছেলে নুরুল কবির(৫০), আজিজুর রহমানের ছেলে আবু ছালেক(৩৮), মৃত মোজাফ্ফরের ছেলে তাজুল ইসলাম(৪২), মাহাবুব কামালের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম(৪০), আবুল কালামের ছেলে তামজিত(১৮), আজিজুর রহমানের ছেলে আবুল কালাম(৫৬), মোজাফ্ফরের ছেলে নুরুল আলম বাদশা(৩০), তাজুল ইসলামের মেয়ে ৯ম শ্রেনীর ছাত্রী তাহিয়াতুল জন্নাত এলসি(১৪), জিয়াউল করিমের মেয়ে তাসমিয়া জন্নাত শিরিন(১৮), বোন পেকুয়া বিএমআই কলেজের বানিজ্য বিভাগের ছাত্রী তানজিলা জন্নাত অপি(১৭), মা ছেনুয়ারা বেগম(৪২), নুরুল ইসলামের স্ত্রী গোলতাজ বেগম(৫৫)। এদের মধ্যে আবু ছালেকের মুখমন্ডল থেকে দুটি দন্ত বিয়োগ হয়। মনোয়ারা বেগমের হাতের একটি আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, প্রায় ১ একর জমি নিয়ে আজিজুর রহমান ও তাজুল ইসলাম গংদের বিরোধ দেখা দেয়। এ নিয়ে কোর্টে ও থানায় মামলা মোকদ্দমা বিচারাধীন। স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘ ৭০ বছর ধরে ওই জমি আজিজুর রহমান গং ভোগ করছিল। তবে জমির জাবেদা সৃজিত হয় তাজুল ইসলাম গংদের অনুকুলে। ওই দিন সকালে জমিতে মাটি কাটছিল। এমনকি তাজুল ইসলাম গং জমিতে বাঁধ দিয়ে দখল প্রক্রিয়া চালায়। এ সময় আজিজুর রহমান গং ওই বাঁধ অপসারন করতে ওই স্থানে পুলিশ পৌছায়। সকালে একদফা পুলিশ গিয়েছিল। পুলিশ চলে আসার মুহুর্তে তাজুল ইসলাম গং ফের ওই স্থানে মাটি কাটা শুরু করে। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে মারামারিতে জড়িয়ে যায়। এ সময় উভয়পক্ষের হামলায় দু’পক্ষই আহত হয়েছে। আতরআলী পাড়ার লোকজন জানায়, পুলিশের সামনা সামনি এ ঘটনা হয়েছে। পুলিশের বিচক্ষনতার ঘাটতি ছিল প্রকট। দু’পক্ষ মারামারিতে জড়িয়ে যায়। এক পক্ষ চিকিৎসা নিতে আসছিলেন। এ সময় পুলিশের সামনে মারপিট হয় দ্বিতীয় দফা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা জানায়, এ ঘটনার জন্য পুলিশকে দায়ী করা যাবে। তারা দু’পক্ষের সাথে নমনীয় ও কৌশলী ভাব পোষন করে। দু’পক্ষকে মারামারিতে ধাবিত করে পুলিশ। এস,আই শিমুল বড়–য়া ও এস,আই কামরুল বিচক্ষনতার ঘাটতির পরিচয় দেয়। পেকুয়া থানার ওসি জহিরুল ইসলাম খান জানায়, মারামারির বিষয়ে অবগত হয়েছি। লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
###############
পেকুয়ায় পানের দোকানিকে পেটালেন দুবৃর্ত্তরা
পেকুয়া প্রতিনিধি :
পেকুয়ায় পানের দোকানিকে পেটালেন দুবৃর্ত্তরা। এ সময় ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে। ১১ এপ্রিল সকাল ৭ টার দিকে উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের ফুলতলা ষ্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। মারপিটের শিকার ব্যবসায়ীর নাম আবদু রশিদ(২৫)। তিনি ওই ইউনিয়নের ঘাটমাঝিরপাড়া এলাকার মৃত জাকের আহমদের ছেলে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ওই দিন সকালে আবদু রশিদ ফুলতলা ষ্টেশনে নিজ দোকানে বসে ব্যবসা করছিলেন। এ সময় ঘাট মাঝিরপাড়া এলাকার মৃত ছাবের আহমদের ছেলে মোজাম্মেল হক, আব্বাছ আহমদের ছেলে নবীর হোসাইনসহ ৪/৫ জনের দুবৃর্ত্তরা তার ব্যবসা প্রতিষ্টানে হানা দেয়। এ সময় তাকে প্রাননাশ চেষ্টা চালানো হয়। তাকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যেতে তারা ধস্তাধস্তি করে। এ সময় আবদু রশিদ আর্তচিৎকার করছিলেন। এক পর্যায়ে তাকে কিল ঘুষি ও লাথি মারতে থাকে। খবর পেয়ে ব্যবসায়ীরা দ্রুত আবদু রশিদকে উদ্ধার করে। এ সময় হামলাকারীরা দ্রুত সটকে পড়ে। ফুলতলার ব্যবসায়ীরা জানায়, জায়গা নিয়ে আবদু রশিদ গং ও মোজাম্মেল গংদের বিরোধ। মগনামা গ্রাম আদালতে মামলা বিচারাধীন। সম্প্রতি জায়গা দখল নিতে চেষ্টা চালায় মোজাম্মেল গং। এ নিয়ে তাদের বনিবনা চলছিল। এর সুত্র ধরে ওই দিন আবদু রশিদকে মারধর চালানো হয়। আবদু রশিদের মা হাজেরা খাতুন জানায়, তারা আমাদের বসতভিটা দখলে নিয়ে বসতবাড়ি নির্মাণের কাজ করছে। এ জায়গা আমার খরিদা ও রায়তী স্বত্ব। আমার ছেলেকে প্রাননাশ চেষ্টা চালায়। আবদু রশিদ জানায়, তারা আমাকে প্রানে হত্যা করতে দোকান থেকে তুলে নিতে এসেছিল। লোকজন এসে আমাকে বাচায়। ১৫ শতক জমি দলিল মুলে আমরা ক্রয় করি। মোজাম্মেল গং জমিতে পাকা ঘর তৈরীর কাজ চালায়। চেয়ারম্যান নিষেধ করেছে। বিচার আছে পরিষদে। তারা গায়ের জোরে ঘর তৈরী করছে। ইট কংকর ভিটায় মজুদ করে। আমাকে মারধর করা হয়েছে। গেঞ্জি ছিড়ে ফেলে। টানা হেচড়া করে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করে। আমি চিৎকার দিই। দফাদার আলমগীর ও গ্রাম পুলিশ গিয়াস উদ্দিন জানায়, আমরা সকালে বিরোধ পূর্ণ স্থানে গিয়েছিলাম। মোজাম্মেল গং জবর দখল প্রক্রিয়ায় লিপ্ত।
পাঠকের মতামত: